ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য রাজউকের ‘পূর্বাচল প্রকল্প’ এলাকায় ২০ একর জায়গা জুড়ে স্থায়ী স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের।
বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে শনিবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য মেলার স্থায়ী স্থান নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রথমে পুরাতন বিমান বন্দর এলাকার আন্ডারগ্রাউন্ডের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পানির স্তরের কারণে বাতিল করা হয়। পরে হাজীক্যাম্প এলাকার কথা ভাবা হয়। কিন্তু সেখানেও বড় জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না।
সর্বশেষ রাজউকের ‘পূর্বাচল প্রকল্প’ এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করেছে বর্তমান সরকার। এখানে মহাসড়কের পাশেই মেলার স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, মেলায় খুব বেশি সংখ্যক বিদেশি উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের সমাগম না হবার একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত আমাদের মেলার চরিত্রটি শুধু বাণিজ্যিক নয়, এখানে বিনোদনের বিষয়টিও জড়িত। দ্বিতীয়ত কোনো আন্তর্জাতিক মেলাই এত দীর্ঘ সময় ধরে চলে না।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অধিকাংশ বিদেশি উদ্যোক্তাদের পক্ষেই এখানে থাকা সম্ভব নয়।
তবে মেলার একটি স্থায়ী স্থান হলে মেলার চরিত্রের অনেকখানি পরিবর্তন ঘটবে ও অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এবার মেলার বিশেষত্ব হচ্ছে এবার যাদের স্টল বরাদ দেওয়া হয়েছে তাদের প্রায় সবাই উদ্যোক্তা। স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে নিছক ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের মেলার প্যাভিলিয়নসমূহ নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের আয় কিছুটা বেড়েছে।