ভারতীয় রেলের আরো একটি ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তার জন্য ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেনের (এলএমও) তৃতীয় চালান নিয়ে একটি ট্রেন শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টায় ভারতের পেট্রাপোল হয়ে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।
আজ (শনিবার, ৩১ জুলাই) সকালে তা সিরাজগঞ্জের ডিপোতে পৌঁছায়।
এর আগে গত ২৪ ও ২৭ জুলাই প্রথম ও দ্বিতীয় চালানে ২০টি কন্টেইনারে ৪০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশে আসে। এছাড়াও বৃহম্পতিবার (২৯ জুলাই) সড়কপথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্যাঙ্কারে ২৩১ মেট্রিক টন অক্সিজেন আসে বেনাপোল বন্দরে।
শুক্রবার ভোরে দশটি কন্টেইনারে (প্রতিটিতে ২০ মেট্রিক টন) ২০০ টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন বহনকারী একটি ট্রেন ভারতের টাটানগর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এই চালানটি বাংলাদেশের তরল মেডিকেল অক্সিজেনের মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে বিকেল তিনটায় ছেড়ে যায়। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেন ভারতে ফিরে যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, তৃতীয় চালানে ২০০ টন অক্সিজেন নিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেনটি দুপুরে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আজ শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের ডিপোতে খালাস করা শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, দেশে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রেলপথ ও সড়কপথে অক্সিজেন আমদানি বেড়ে গেছে। আমদানিকারকরা যেন দ্রুত অক্সিজেন খালাস নিতে পারেন সেজন্য কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষণিক কাজ করছেন। অক্সিজেন আমদানির সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।