আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুখের কথায় রাজনীতিতে চিড়া ভিজে না। বিএনপি জনরোষের ভয়ে বাধ্য হয়েই এখন একলা চলো নীতিতে রয়েছে। সংক্রমণের উচ্চমাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে বিএনপির অপপ্রচারও চড়ছে উচ্চমাত্রায়। অসহায় মানুষের জন্য তাদের মায়াকান্না বক্তৃতা বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি একবার বলে কঠোর লকডাউন আবার বলে লকডাউনে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এখন আবার বলছে কারফিউ সমাধান নয়।
বিএনপি সর্বত্র দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে পায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আক্রান্ত করা এটি নতুন ধরনের কোনো ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ কিনা তা একমাত্র চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ঘ্রাণ শক্তিই আসলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। যাদের যে কাজে আগ্রহ তাদের নজর সেদিকে থাকাই স্বাভাবিক!
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই মহামারিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর যে সব দেশে সংক্রমণ ভয়ানক রূপ নিয়েছে সেখানে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা কোনো দলের নয়। বিএনপি চায় তাদের নিয়ে কমিটি হোক! পৃথিবীর কোথাও দলীয় কমিটির রেওয়াজ নেই।
করোনার এই সংকটে জনগণকে বাঁচানোর জন্য বিএনপিসহ সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভাইরাস দলমত চিনে না।
বিষোদ্গার আর সমালোচনার বৃত্ত থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে এসে মানুষের পাশে দাঁড়ানোরও আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। সংকটকালে সাহস জোগানের পরিবর্তে বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার যে অপচেষ্টা করছে তা বন্ধ করতেও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন। বিএনপি শুরু থেকে নিজেদের আইসোলেশনে রেখে লিপসার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগ সংকটের শুরু থেকে জনগণের পাশে আছে। শেখ হাসিনা সরকার জনকল্যাণে কাজ করছে, কোথাও অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে। জনগণকে বাঁচানোই হচ্ছে এখন রাজনীতি।
তিনি বলেন, মানুষ না বাঁচলে কাদের জন্য রাজনীতি করব? অথচ বিএনপি নেতারা মানুষ বাঁচানোর পরিবর্তে সরকারের সমালোচনা আর দুর্নীতির গন্ধ খোঁজাকেই সংকটকালে রাজনীতি হিসেবে চর্চা করে যাচ্ছে।