ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় চার বাঙালি স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন- পশ্চিমবঙ্গের চার পার্লামেন্ট সদস্য নিশীথ প্রামাণিক, ডা. সুভাষ সরকার, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে ৩৫ বছর বয়সী নিশীথ প্রামাণিককে। তিনি মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন নিশীথ। অন্যদিকে সুভাষকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের পার্লামেন্ট সদস্য বার্লা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। মতুয়া সম্প্রদায় থেকে প্রথম মন্ত্রী হওয়া শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবাংলার মতুয়াপ্রধান অঞ্চলে বিজেপি প্রভাব বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। মন্ত্রিসভায় নিয়োগের মাধ্যমে তাকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরে ৫৩ জনের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী।
বাবুল ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে দেবশ্রী ছিলেন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন তারা। তাদের জায়গায় মন্ত্রিত্ব পেলেন এই চারজন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৪৩ মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৬ জন নতুন করে নিয়োগ পেয়েছেন।
বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫২ থেকে বেড়ে ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে মোদির মন্ত্রীর সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে এবারের মন্ত্রিসভা।
উত্তরপ্রদেশের ছয় রাজনীতিবিদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের নির্বাচনে রাজ্যটিতে বিজেপি হেরে গেলে তা মোদির জন্য বড় লজ্জার কারণ হবে। তিনি নিজেও এই রাজ্য থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
নারী মন্ত্রীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে চার জন ছিল, সেখানে সাতজন বাড়িয়ে ১১ নারী রয়েছেন মোদির মন্ত্রিসভায়।
সবার আগে শপথ নিয়েছেন নারায়ণ রানে। ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ রাজ্যসভার এমপি ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ইংরেজি ভাষায় শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার এমপি জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়া। মধ্যপ্রদেশের লোকসভার এমপি বীরেন্দ্র কুমার, উড়িষ্যার রাজ্যসভার এমপি অশ্বিনী ভাসনাও, বিহারের রাজ্যসভার এমপি আর সি পি সিং, বিহারের লোকসভার এমপি পশুপতি কুমার পরসও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।