আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে এখন মেগাপ্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে করেছে লুটপাট।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের মেগাপ্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থ সংস্থানের কথা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে। এ ক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই এবং হবেও না। করোনার টিকা সংগ্রহসহ সব সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, আর প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক সাত আট বিলিয়ন ডলার। করোনাকালেও রফতানি আয় বেড়েছে, তাই মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাট-ছাঁটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশ্যমূলক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কোনো মহামারি রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা। করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সবার সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজে নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগত থেকে ছিটকে দিতে পারে।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন। অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে (উত্তরাঞ্চলে) কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানি প্রবাহ বেড়েছে সেসব এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ সময় সরকারের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও জনমানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।