ডিপিএল সফল হলে মাঠে গড়াবে বিপিএল

ডিপিএল সফল হলে মাঠে গড়াবে বিপিএল

করোনাকালীন তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে মাঠে গড়ায়নি বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দুটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট ও ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর পর স্থগিত হওয়া ডিপিএল।

সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে বিপিএলের এবারের আসর। তবে সেটা নির্ভর করবে ডিপিএল আয়োজনের ওপর। স্থগিত হওয়া টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করা গেলেই কেবল মাঠে গড়াবে বিপিএল। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

এ প্রসঙ্গে জালাল বলেন, ‘অবশ্যই হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে, প্রথম শ্রেণির খেলা আছে, বিসিএল বিপিএল আছে। এখানে যদি ভালোভাবে জৈব সুরক্ষা করতে পারি… এর আগে তো করেছি আমরা, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ করেছি। আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা তো আছেই। এর মধ্যে একটা দলও তৈরি হয়েছে তারা জানে এটা কিভাবে করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। দুইশ-আড়াইশ খেলোয়াড়ের মধ্যে কয়েকজন আক্রান্ত হতে পারে। ইতোমধ্যে ৫-৬ জন আক্রান্ত হয়েছিল। আবার পরীক্ষার পর নেগেটিভ হয়েছে। এমন দুই-একটা হতে পারে। আইসিসির যে প্রটোকল আছে- কেউ যদি আক্রান্ত হয়, সাথে সাথে আইসোলেশনে নিয়ে খেলা চালানোর বিধান আছে। আমরা চেষ্টা করব যতদূর সম্ভব… অবশ্যই বড় একটা চ্যালেঞ্জ।’

বিপিএল আয়োজনের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। করোনার মাঝে বিশ্বের বড় দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করতে পারলে বিপিএল আয়োজন করতে সুবিধা হবে বলে বিশ্বাস করেন জালাল। এদিকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি বিদেশি ক্রিকেটার আনার সুযোগ থাকলেও ভালো মানের কাউকে আনা যেতো না বলে আনেনি বাংলাদেশ।

জালাল বলেন, ‘অবশ্যই বড় সুযোগ। যদি এগুলো ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, এই মহামারীর পরিস্থিতিতে এত বড় দলের বিরুদ্ধে সিরিজ আয়োজন করতে পারি অবশ্যই উৎসাহ তো পাবেই (বিপিএল)। আমরা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বিদেশি খেলোয়াড় আনতে পারতাম। হয়তো ওই মানের খেলোয়াড় পেতাম না, কিন্তু অনেকেই রাজি ছিল আসতে। শুধু নিজেদের খেলোয়াড়দের খেলাতে চেয়েছিলাম বলে… গত বছরই বিদেশি আনতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি জানুয়ারিতে বিপিএল করি… ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটা যদি ছড়িয়ে যায়, জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর মধ্যে যদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আর কোভিড বেশি না ছড়ায়, আমাদের জন্য সামনের খেলাগুলো আয়োজন করতে আরও সুবিধা হবে।’

খেলাধূলা শীর্ষ খবর