বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের আতঙ্কে সাত দিনের জন্য বন্দরের কার্যক্রম (সীমান্ত অতিক্রম) স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান একতরফা বন্ধের কথা বললেও বন্দরের আমদানিকারক ও ব্যাবসায়ীরা বলছেন এমন কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। এতে করে বিরুপ মন্তব্যে ঘোল অবস্থা বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন, আমদানিকারক ও বন্দর এলাকার ব্যাবসায়ীদের মাঝে।
আজ শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আমদানিকারক টি-ইসলাম বলেন, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকার পরেও স্বার্থনেশী কিছু লোক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা বন্দরের রাজস্ব আয়ে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমাদের কোন কিছু জানানো হয় নি। বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন একায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা ভিত্তিহিন। বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও ব্যাবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মাননীয় সাংসদ এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের স্বাস্থ্য সূরক্ষা মূলক নির্দেশনা মেনে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল ব্যাবসায়ীরা, এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে বর্তমানে সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। ভূটানে কিছু পয়েন্টে লকডাউন শিথিল করে লোডিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে চতুর্দেশীয় বন্দরটি সকল ব্যাবসায়ীদের সাথে আলোচনা না করে বন্ধ ঘোষণা করায় প্রকৃত ব্যাবসায়ীরা হতবাক হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন, বন্দর বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসিনি কর্তৃপক্ষ। যেহেতু চার’দেশের ব্যাবসার বিষয় তাই এখানে কেউ একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা, এটি সরকারি ব্যাপার।