দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
আগামী ২২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই হিসেবে পর দিন ২৩ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা খুলছে না। একইভাবে ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খোলা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে বা কাছাকাছি না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে, তাই আগামী ২৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। আর আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা থাকলেও তা খুলছে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে আসলে তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবো। এর আগে যখন ৫ শতাংশের কম হয়েছিল তখন খোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।’
মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে (৫ শতাংশের কম) প্রথমে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সীমিত আকারে আনা হবে।’
এদিকে আসন্ন লকডাউন ঘোষণার আগেই করোনা পরিস্থিতি মানিয়ে অনলাইনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সহসায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে না ধরে নিয়েই বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি সহসায় অনুকূলে আসবে না। সে কারণে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্লাস্টার ভিত্তিক অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেটের আওতাভুক্ত নয় এমন জায়গায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গত ২৯ এপ্রিল ক্লাস্টারভিত্তিক অনলাইন ক্লাস এবং পরবর্তীতে অনলাইন স্কুল ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা জারি করা হয়। পরদিন ৩০ এপ্রিল জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রণীত অন্তর্বর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সার্বিক নির্দেশনা জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সর্বশেষ গত ১২ মে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।