টানা নবম জার্মান ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন মিউনিখ। বরুসিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখের সঙ্গে জিতলেই ট্রফি নিশ্চিত ছিল বায়ার্নের।
কিন্তু সেটারও দরকার পড়ল না। এর আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় আরবি লাইপজিগ, যারা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। লাইপজিগের হারেই বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।
তবে মাঠে নেমে উপলক্ষটা দারুণ এক জয়ে রাঙাল বায়ার্ন মিউনিখও। কিছু পরেই ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় নেমে রবার্ট লেভান্ডভস্কির হ্যাটট্রিকে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল বুন্দেসলিগার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। তাদের বাকি তিন গোলদাতা টমাস মুলার, কিংসলে কুমান ও লেরয় সানে।
টানা নবম খেতাব পেলেও আগের মৌসুমের মতো ট্রেবল বা ত্রিমুকুট জিততে পারেনি বাভারিয়ান ক্লাবটি। গত বছর বুন্দেসলিগা, ডিএফবি-পোকাল এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল তারা। ডিয়েটার হ্যান্সি ফ্লিকের হাত ধরে যেন নতুন করে ইউরোপের বড় শক্তি হয়ে উঠেছিল বায়ার্ন। কিন্তু হ্যান্সি ফ্লিক ক্লাব ছাড়ছেন। তিনি এবার হাল ধরবেন জার্মান জাতীয় দলের। অন্যদিকে নতুন মৌসুমে বায়ার্নের দায়িত্বে আসছেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সি জুলিয়ান নাগেলসম্যান।
টানা নবম ও সব মিলিয়ে রেকর্ড ৩১ বার জার্মানির শীর্ষ লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো মিউনিখের দলটি।
এ বছর এখন পর্যন্ত বুন্দেসলিগায় মোট ৯২ গোল করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব প্রাপ্য অবশ্যই স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডভস্কির। চোট পেয়ে বসে আছেন বেশ কিছুদিন হল, অথচ এর মধ্যেই ৩৭টা গোল করে বসে আছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন তরুণ তারকা আরলিং হালান্ড, তার গোলের সংখ্যা ২৫। গোলে সহায়তাতেও সবার আগে বায়ার্নের টমাস মুলার। মোট ৩৪টা ম্যাচের মধ্যে ৩১টা ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ন হল বায়ার্ন। বর্তমানে ৩২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭৪ পয়েন্ট।