লকডাউন : দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে অফিসগামী যাত্রীরা

লকডাউন : দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে অফিসগামী যাত্রীরা

সাত দিনের লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও ঢাকার রাস্তায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। লকডাউনের মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় অফিস-কারখানা, বইমেলা খোলা রাখার সুযোগ থাকায় অনেক মানুষকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাইরে বের হতে হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন না থাকায় তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

অনেক অফিসযাত্রী মানুষকে গণপরিবহনের উদ্দেশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি বা রিলগায় চড়ে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়েছেন।

খিলগাঁও রেলগেটে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন একটি গার্মেন্টসের কর্মকর্তা হারুন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে আমার অফিসে যেতে অন্য সময় রিকশায় ৬০ টাকা নিত। আজ ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকা। তাও ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে দুটি রিকশা ফাঁকা পেয়েছি। মনে হচ্ছে এখন হেঁটেই অফিসে যেতে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ থেকে মিরপুর মাজার রোডে অফিসে আসেন মঞ্জুরুল আলম। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। লকডাউনের প্রথম দিনের সকালে দুর্ভোগে পড়েন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা কেমন লকডাউন, সেটাই বুঝলাম না। অফিস-আদালত খোলা। শুধু গাড়ি আর মার্কেট বন্ধ। সকালে পূর্ব নয়া টলার বাসা থেকে বের হয়ে হেঁটে হেঁটে মগবাজার এলাম। সেখান থেকে রিকশা করে মগবাজার। আবার মগবাজার থেকে রিকশা নিয়ে কারওয়ান বাজার। সেখানে চার জন মিলে একটা অটোরিকশা ঠিক করে মিরপুর এলাম। আজ অন্য দিনের তুলনায় চার গুণ টাকা বেশি লেগেছে।’

ঢাকার গ্রিনরোড থেকে মতিঝিলে যাওয়ার কথা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সানজিদা খানম। তিনি বলছিলেন, রাস্তায় কোন বাস নেই। অথচ, প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিক্সা চলছে অবাধে। সিএনজি অনেক কম, ভাড়া চাইছে দ্বিগুণ।

সকালে ঢাকার চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, মৌচাক, খিলগাঁও, রাজারবাগ, বাসাবো, কমলাপুর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাই, বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকায় দেখা গেছে সড়কে কোনো গণপরিবহন নেই। এসব এলাকার অফিসগামী মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও রিকশা না পেয়ে হেঁটেই অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

কাকরাইল, পান্থপথ, ফার্মগেট, শ্যামলীসহ বেশ কিছু বড় বড় ট্রাফিক সিগন্যালে যানজটও দেখা গেছে। কোথাও কোথাও দুই একটি গণপরিবহনও দেখা গেছে।

নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে স্টাফ বাস চলাচলের অনুমতি থাকলেও তাতে প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত পরিবহন, সিএনজি, রিকশা, লেগুনা ও মোটরসাইকেল পরিবহন করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। নগরীর রাজারবাগ মোড়ে যাত্রী পরিবহনের দায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে আটকাতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর