রাজশাহীতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
মালিক সমিতির নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত বলে জানান পরিবহন নেতারা। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, মঙ্গলবার (২ মার্চ) দলের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করেই এ ধর্মঘট।
বাস না থাকায় আজ সকাল থেকে বিকল্প যানবাহনে করে বাড়তি ভাড়ায় যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে গেছেন।
সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলো খোলা রাখা হয়েছে অর্ধেক করে। ভেতরে বাসের কর্মচারীরা বসে আছেন। কিন্তু তারা কোনও টিকিট বিক্রি করছেন না। হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা কোনো টিকিট বিক্রি করার অনুমতি পাননি। মালিক সমিতি অনুমতি না দিলে তারা টিকিট বিক্রি করবেন না।
আমিনুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ব্যাংকে চাকরি করি। রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। আমি প্রতিদিন সকালে রাজশাহী থেকে বাসে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গিয়ে অফিস করি। কিন্তু বাস বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অটোরিকশায় যেতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী জেলার মোহনপুর সদরের বাসিন্দা বাসিরুজ্জামান বলেন, ব্যবসার কাজে আমাকে মোহনপুর থেকে নাটোরে যেতে হয়। কিন্তু বাস বন্ধ থাকার কারণে যেতে পারছি না। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নাজমা বেগম তার ছেলেমেয়ে নিয়ে গতকাল রাজশাহীতে এসেছিলেন চিকিৎসক দেখাতে। সকালে এস টার্মিনালে বাচ্চাদের নিয়ে বসে আছেন বাসের অপেক্ষায়। বাস চলাচল না করায় বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি।
এদিকে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের সমাবেশের আগের দিন সোমবার রাজশাহী থেকে বিভিন্ন আন্তঃজেলা রুটে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন জানান, সম্প্রতি বগুড়ায় তাদের শ্রমিকরা হামলার শিকার হয়েছেন। এর প্রতিবাদে তারা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তারা চেষ্টা করছেন করা যায় কিনা।