প্রথম দৃষ্টিতে ধাঁধাঁ লেগে যাবে? আসল কে, নকল কে? এত মিল হতে পারে মানুষে মানুষে। নিখুত দৃষ্টি দিলে সহসায় ধরা পড়বে প্রকৃত সত্য। পাকিস্তানে পাওয়া গেলে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মতো দেখতে এক তরুণী। যাকে দেখলে আপনিও হয়ত ঐশ্বরিয়া ভেবে ভুল করবেন। ওই তরুণীর নাম আমেনা ইমরান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়ে গেছে আমেনার একাধিক ছবি।
পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটির মত মানুষ আছে। একেকজন এর সাথে একেকজনের চেহারার যেমন মিল নাই তেমনি আচার আচারণেও । তবে এমন কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে একই চেহারার প্রত্যেক মানুষের ৬ জন অনুরূপ মানুষ আছে! এমন হওয়া বা ঘটার সম্ভাবনা আসলে কতটুকু?
আসলে আমাদের চেহারা, আচার আচারণ নির্ভর করে বাবা মায়েদের থেকে প্রাপ্ত উঘঅ এর মাধ্যমে। যা শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়। পুরুষের শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরণের শুক্রানু ও নারীর শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরনের ডিম্বানু তৈরী হতে পারে। যে কোন একটি শুক্রানু যে কোন একটি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়।
এখন একজন পুরুষের ৮মিলিয়ন শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ৮মিলিয়ন ডিম্বাণু মিলে ৬৪ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন চেহারার বাচ্চা জন্মদিতে পারবে (যদি না জমজ না হয়)। তবে প্রত্যেকের চেহারাতেই তার মা, বাবা, নানা, নানী, দাদা ও দাদীর চেহারার কম-বেশি ছাপ থাকবে।
প্রতিটা মানুষের ডি.এন.এ ২৩ টি টুকরাতে বিভক্ত। এই প্রতিটা টুকরোকে বলা হয় এক একটা “ক্রোমোসম”। একটা মানুষ দেখতে কেমন হবে, এই সব তথ্য রাখা থাকে তার ডি.এন.এ এর মধ্যে। প্রতিটা ক্রোমোসম আবার ২ কপি করে থাকে, এক কপি সে পায় তার বাবার কাছ থেকে আর আরেক কপি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অর্থাৎ, মানুষের শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোসম থাকে, প্রত্যেক জোড়ার ১টা আসে মায়ের কাছ থেকে, আরেকটা আসে বাবার কাছ থেকে। পুরুষের শরীর হতে যখন শুক্রানু বা নারীর শরীর হতে ডিম্বানু তৈরী হয়, তখন প্রতি জোড়া ক্রোমোসম নিজেদের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে নতুন কম্বিনেশনের এক জোড়া ক্রোমোসম তৈরী করে। এই জেনেটিক ওভার ক্রসিং এর কারনেই চেহারা, আচার আচারণের ভিন্নতা তৈরি হয়। তাই বলা যায় পৃথিবীতে একই চেহারার ৬ জন তো নয়ই, দুইজন মানুষ থাকা পার্সেন্টজ হিসাবে শূন্যই বলা যায়