বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তের পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে এবার নিজেদের সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর কথা জানিয়েছে বেইজিং। যদিও নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজ্যসভায় এবং বিকাল লোকসভায় পূর্ব লাদাখ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত বিবৃতি দেবেন।
গত বছরের এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এই দুই দেশের একাধিক সংঘর্ষ হয়। এর ফলে উভয় দেশের কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটে। সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত ২৪ জানুয়ারি চীন সীমান্তের মলডোতে নবম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের সেনাকর্মকর্তারা। তার পরে নয়াদিল্লি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, দুইপক্ষই দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
ওই বৈঠকের প্রায় আড়াই সপ্তাহের মাথায় চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্নেল উ চিয়াং বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানান, লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ ও উত্তর তীরে চীন-ভারতের যে সেনা মোতায়েন রয়েছে, তারা আজ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ও সমতা বজায় রেখে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। ভারত ও চীনের মধ্যে নবম পর্যায়ের যে সেনা বৈঠক হয় তার ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছে উভয়পক্ষ।
অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার লোকসভায় চীন ভারতের জমি দখল করেছে কি না? করলে কোন এলাকায় কতটা জমি দখল করেছে? সেনা প্রত্যাহার হলে কবে থেকে হবে- বিরোধীদের এমন সব প্রশ্ন এড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের শেষে ভারতীয় সেনাদের গুণগান করে বলেন, আমাদের দেশের সেনারা দেশকে খাটো হতে দেবেন না। দেশের সেনার বীরত্ব দেখে গর্ব করা উচিত।
বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে লাদাখের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে সংসদে জানানোর বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।