সংঘাত ও যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলোতে ক্ষুধা নিরসনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি।
আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) নরওয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা) রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি বলছে, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার রোধ করতে চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করার জন্য ক্ষুধার বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে সংস্থাটিকে এবারে শান্তিতে নোবেল দেয়া হলো।
২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ইথিওপিয়ার সংস্কারপন্থী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। মূলত দুই দশক ধরে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধের অবসান ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সংঘাত নিরসনের ইথিওপিয়ার আমূল সংস্করের কারিগর হিসেবে তাকে এবার শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে।
বিজয়ী বাছাইয়ের কাজে নিয়োজিত কমিটিতে কয়েক বছরের বিতর্ক এবং যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনার পর সাহিত্যে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইডেনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সুইডিশ একাডেমি বিশ্বের সম্মানজনক এ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
ডিএনএ সম্পাদনায় ক্রিসপার বা ক্যাস-৯ নামের নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্সের ইমানুয়েল শরপেনটির ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার এ দোনা। গত বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ওই তিন রসায়নবিদের নাম ঘোষণা করে।
কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে নতুন আবিষ্কারের গবেষণায় পদার্থে নোবেল পেয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী রজার পেনরোস, মার্কিন জ্যোতির্বিদ রেইনহার্ড গেঞ্জেল ও জার্মান পদার্থবিদ আন্দ্রিয়া ঘেজতিন বিজ্ঞানী। গত মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি এ বছরের পদার্থে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
গত সোমবার হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কার এবং এর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মার্কিন বিজ্ঞানী হার্ভে জে আল্টার ও চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হাউটন দুই মার্কিন বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল জয়ী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।