পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ব্যর্থ হয়ে দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আলজাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার ইরানের পুরো অর্থনীতির ওপর নতুন এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
ওয়াশিংটনের এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে তেহরান।
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৮টি প্রধান ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ১৬টি ইরানের আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ব্যাংক ইরান সরকার পরিচালিত এবং আরেকটির সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চিহ্নিত আর্থিক খাতগুলো ইরানের অর্থনীতে কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশটির সরকারের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন বলেন, ‘আজকের পদক্ষেপগুলো মানবিক লেনদেনের জন্য ইরানের জনগণকে সহায়তা করবে।’
তবে ইরানের ওপর এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন আছে, যার সঙ্গে যুক্ত ইউরোপের অনেক প্রতিষ্ঠান।
টুইট বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা ইরানের মানবিক লেনদেনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে সেপ্টেম্বরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, মারণাস্ত্র ও পরমাণু কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা ও তার ডিরেক্টর এবং পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ।