অনেকদিন পর স্কোরকার্ডে বাংলাদেশ বেশ ঝরঝরে। দিনের খেলা শেষে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে না। বরং পুর্নগঠিত হওয়ার রসদ পেয়েছে।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৩৪ রান। একটি শতকও আছে। এবং শতক পাওয়া ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান অপরাজিত। ১৬৮ বলে ১৪ চারে ১০৮ রান করেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। আরেকটি ইনিংস ৯৭ রানের। শাহরিয়ার নাফিস ওই রান করেছেন। অল্পের জন্য ইনিংসে দ্বিতীয় শতক হয়নি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৪.৪ ওভার বাকি থাকতে উমর গুলের বাউন্সর বল থেকে শাহরিয়ার না পারলেন নিজেকে বাঁচাতে, না পারলেন ছেড়ে দিতে। দুর্ভাগ্যক্রমে গ্লাবসে লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ-আউট হলেন।
প্রথম সেশনেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ দল। আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কা ভিড় করছিলো। সেখান থেকে সাকিব এবং শাহরিয়ার নাফিস পাঁচ উইকেটে ১৮০ রান যোগ করলে দলের স্কোর শোভন দেখাচ্ছে। পঞ্চম উইকেটে তাদের এই অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে কোন আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ।
ষষ্ট জুটিতে সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম দিনের বাকি সময়টা নিরাপদেই পার করেছেন। দ্বিতীয় দিন সকালে ফের সংগ্রাম করতে হবে তাদেরকে।
টসে হারাটা বোধহয় সাপেবর হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। পাকিস্তান চেয়েছিলো শিশিরের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে প্রথম দিনই বাংলাদেশ দলের ইনিংস মুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। দুই পেসার উমর গুল এবং আজিজ চিমা যেভাবে উইকেট ফেলছিলেন তাতে করে সে দিকেই যাচ্ছিলো। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় একটি বড় জুটি হয়। আফসোস থেকে যায় শাহরিয়ার নাফিসের আউট নিয়ে।
সকাল সাড়ে নয়টায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে খেলা মাঠে গড়ায়। সময় কমে যাওয়ায় ২২ ওভার কম খেলা হয়। একঘন্টার মধ্যেই উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিলো। শীতের সকালকে বিশ্বাস করতে নেই। কুয়াশা এবং শিশিরে ভেসে যেতে পারে আউটফিল্ড। দ্বিতীয় দিনটা পাকিস্তানের বোলারদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে আসতে পারে।
অভিষেক টেস্টে দারুণ পারফরমেন্স করা নাজিমউদ্দিনকে সাজঘরে ফিরতে হয় হতাশা নিয়ে। আজিজ চিমার অফ স্ট্যাম্পের বল ভেতরে ঢুকলে নাজিমউদ্দিনের উরুতে গিয়ে আঘাত করে। পাকিস্তান দলের অযৌক্তিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় আম্পায়ার শাভির তারাপোরে আঙ্গুল তুলে দেন।
তামিমকে দেখে কারো মনে হয়নি তিনি ওভাবে ক্যাচ দেবেন। আত্মবিশ্বাসে ফেরা হয়নি জাতীয় দলের এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের। দুটি চারে ২৪ বলে ১৪ রান করেন তামিম। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পাওয়া মাহমুদউল্লাহ শূন্য এবং নাসির হোসেন ৭ রানে আউট হয়েছেন।
বোঝাগেলো হুট করে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনও ক্রিকেটারদের জন্য ভরাডুবির কারণ হয়ে আসতে পারে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নাঈম ইসলামের যেমন হয়েছে। এখন একাদশেই নেই তিনি।