৩ জেলা বাদে ৬১টি জেলায় প্রশাসক নিয়োগ করেছে সরকার। এদের নাম প্রজ্ঞাপনে তোলার জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব অশোক মাধব রায় রাত আটটায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই আমরা নামগুলো চূড়ান্ত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দাপ্তরিক কিছু প্রক্রিয়া সেরে তাদের নামে প্রজ্ঞাপন তৈরির জন্য আদেশ জারি করা হবে।’
যুগ্মসচিব রায় জানান, নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপমন্ত্রী মর্যাদা পাবেন বলে জেলা পরিষদ আইনে বলা হলেও সরকার নিযুক্ত প্রশাসকরা কী মর্যাদা পাবেন তা এখনও নিশ্চিত করেনি সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসকদের নিয়োগ করা হলেও নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা কবে নির্বাচিত হবেন তা প্রজ্ঞাপনে বলা থাকছে না।’
জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে কার্যক্ষেত্রে কোথাও দ্বন্দ্ব হওয়ার কোনও সুযোগ নেই বলেও তিনি জানান।
অশোক মাধব রায় বলেন, ‘জেলা পরিষদের প্রশাসকরা মূলত সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তদারকি করবেন।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান এর আগে বাংলানিউজকে জানান, প্রশাসক নিয়োগের সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই পরিষদগুলোতে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
নিযুক্ত প্রশাসকরা পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচন পরিচালনা করবে।
প্রশাসক হতে যাওয়াদের নামের মধ্যে রয়েছে:
পঞ্চগড়ে মো. আবু বকর সিদ্দিক, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, নীলফামারিতে মমতাজুল ইসলাম, লালমনিরহাটে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, রংপুরে অ্যাডভোকেট রোজিনা রাজ্জাক, কুড়িগ্রামে মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, গাইবান্ধায় অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামসুল হক হিরু, জয়পুরহাটে এস এম সোলায়মান আলী, বগুড়ায় ডা. মকবুল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. মইনউদ্দিন মন্ডল, নওগাঁয় অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, রাজশাহীতে মাহবুব জামাল ভুলু, নাটোরে অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল মজিদ মন্ডল, পাবনায় মো. সাইদুল হক চুন্নু, মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, কুষ্টিয়ায় জাহিদ হোসেন জাফর, চুয়াডাঙ্গায় মেজর (অব.) আলিমুজ্জামান জোয়ার্দার, ঝিনাইদহে ওয়াহেদ জোয়ার্দার, যশোহরে শাহ হাদিউজ্জামান, মাগুরায় অ্যাডভোকেট সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, নড়াইলে অ্যাডভোকেট সুভাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুন অর রশিদ, সাতক্ষীরায় মনসুর আহমেদ, বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে মোশাররফ হোসেন, ভোলায় আব্দুল মমিন টুলু, বরিশালে ডা. মোখলেসুর রহমান, ঝালকাঠিতে সরকার মোহাম্মদ শাহ আলম, পিরোজপুরে অ্যাডভোকেট মো. আকরাম হোসেন, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান ফারুক, জামালপুরে অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, শেরপুরে অ্যাডভোকেট হালিম, ময়মনসিংহে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক, নেত্রকোনায় মতিউর রহমান, কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান। মানিকগঞ্জে অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জে মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকায় হাসিনা দৌলা, নরসিংদীতে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জে আব্দুল হাই, রাজবাড়িতে আকবর আলী মির্জা, ফরিদপুরে কাজী জায়নুল আবেদীন, গোপালগঞ্জে কাজী রশিদ, মাদারীপুরে মেরাজউদ্দিন খান, শরীয়তপুরে মজিবুর রহমান মাস্টার, সুনামগঞ্জে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ঈমন,
সিলেটে আবু সুফিয়ান, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী, কুমিল্লায় মো. ওমর ফারুক, চাঁদপুরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, নোয়াখালীতে ডা. এবিএম জাফরুল্লাহ, লক্ষীপুরে শাহজাহান কামাল, চট্টগ্রামে আব্দুচ সালাম এবং কক্সবাজারের মোশতাক আহমেদ।