পদ্মা সেতু নির্মাণে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়া।
সোমবার দুপুর ১২টায় মহাখালীস্থ সেতুভবনে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রতিনিধি দল।
মালয়শিয়া সরকারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত দাতো সেরি স্যামি এস ভেলুর নেতৃত্বে ২৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘ মালয়শিয়া প্রাথমিক প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাবে কি কি আছে তা আমরা এখনো বিস্তারিত দেখিনি।”
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ার দেওয়া প্রাথমিক প্রস্তাবটি এক মাস পর্যালোচনা করা হবে। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে আবার আলোচনা হবে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হবে।
নির্মাণকাজ শুরু করতে কতদিন লাগতে পারে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করছি আগামী ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে ”।
ওবায়দুল কাদের জানান, চূড়ান্ত চুক্তির সময় সবাইকে জানানো হবে, কোনো কিছু গোপন করা হবে না।”
`যদি চুক্তি হয়` তাহলে পদ্মা সেতুর পুরো ব্যয় মালয়েশিয়া বহন করবে বলেও যোগাযোগমন্ত্রী জানান।
বিশ্বব্যাংক আগ্রহ দেখালে আমরা রাজী
এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার পরও বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ার সঙ্গে মাত্র সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে; চূড়ান্ত হয়নি।এখনো বিশ্বব্যাংক যদি এ সরকারের আমলে কাজ শুরু করবে বলে আশ্বাস দেয়, তাহলে আমরা রাজি আছি। `
সেতুভবনে মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়েছে কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি গত জানুয়ারি মাসেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে। আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করিনি। তারাই দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অর্থ প্রদান বন্ধ করেছে।“
জানা গেছে, ২৬ সদস্যের প্রতিদনিধি দলটি মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা দেখতে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার জন্য চুক্তি করলেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর তা স্থগিত করা হয়।