ওয়ারিদের লাইসেন্স হস্তান্তর ফি মাত্র ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা!

ওয়ারিদের লাইসেন্স হস্তান্তর ফি মাত্র ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা!

মোবাইল ফোন অপারেটর ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ মালিকানা এয়ারটেলের কাছে হস্তান্তর এবং লাইসেন্স ট্রান্সফারের জন্যে সরকার পেয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০ টাকা।

সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদে রাজু। তবে এয়ারটেল তাদের প্রতিশ্রুত ৩শ’ মিলিয়ন ডলার এরইমধ্যে বিনিয়োগ করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

বিরোধী দলীয় সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়ার প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, ওয়ারিদ টেলিকম কোম্পানির নেগেটিভ ইকুইটি ভ্যালুর কারণে তাদের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য ১ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছে পূর্বানুমতি বা অনাপত্তির জন্যে আবেদন করা হয়। আবেদনের সঙ্গে ৩শ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।

মন্ত্রী জানান, ৩শ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিটিআরসি বিবেচনায় আনে। এই অর্থ দেশে বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শেয়ার ট্রান্সফারের মূল্যের নিয়ম অনুসারে ফি আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লাইসেন্স ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফি’র ৫ শতাংশ পাওয়ার বিধান রয়েছে। সেই বিধান অনুসারে ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য যেহেতু ১ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়, তার ৫ শতাংশ অনুসারে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০ টাকা পেয়েছে সরকার।

এর আগে ২০০৮ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর একটেলের (বর্তমানে রবি) ৩০ শতাংশ শেয়ারের ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সারকারের কোষাগারে প্রায় ২ শ’ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। সেখানে ২০১০ সালের এই ট্রান্সফারে সরকার পেল ৪ লাখ টাকার চেয়েও কম।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু জানান, এরইমধ্যে দোয়েল ব্রান্ডের ১ হাজার ৭৯৯টি ল্যাপটপ সেনাবাহিনীতে সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। জুনে আরো ১ হাজার ল্যাপটপ দেওয়া হবে। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরো ২০ হাজার ৫শ ল্যাপটপ সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সামশুল হক চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগে ১৫ লাখ মোবাইল সিম বন্ধ করা হয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য