সিলেটে ৬শ’ কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রগতি লাইফ! গ্রাহকদের মানববন্ধন

সিলেটে ৬শ’ কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রগতি লাইফ! গ্রাহকদের মানববন্ধন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সিলেট থেকে ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এর গ্রাহকরা। ফলে কোম্পানিটিতে বীমা করে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২৭ হাজার গ্রাহক। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা রোববার সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সিলেটের ২৭ হাজার গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এ টাকা উদ্ধারে জন্য রাজপথে আন্দোলনের সঙ্গে আইনি লড়াইও চালিয়ে যাবেন তারা। এতে বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ নেতা রাকেশ রায়, সমাজকর্মী রাজিউল ইসলাম তালুকদার রাজু, প্রতারিত গ্রাহক মনোরঞ্জন তালুকদার, সুব্রত বর্মণ, বিপ্রেস রায় প্রমুখ।

জানা গেছে, মাস খানেক আগে নগরীর গ্যালারিয়া মার্কেটের প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স অফিসের মালামাল নিয়ে উধাও হয় প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় কর্মকর্তারা।

সিলেট নগরীর জল্লারপাড় রোডে গত কয়েক বছর ধরে বীমা ব্যবসা করে আসছিল প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। পরবর্তীতে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের গ্যালারিয়া মার্কেটের সাত তলায় আরও একটি অফিস খুলে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসা বন্ধ করার আগে সিলেট কার্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানটির ২৭ হাজার গ্রাহক ছিল। তাদের জমানো টাকার পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল সিলেট থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয় কোম্পানিটি।

সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির সিলেটের ইনচার্জ ছিল স্থানীয় মিঠুন চৌধুরী। এ ব্যাপারে গত ২৭ এপ্রিল তিনি সিলেটের কোতোয়ালি থানায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন। জিডি নম্বর ২৩২৭/২০১২। জিডিতে তিনি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার খবর দেওয়া ছাড়াও তাদের ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পাওনার কথা বলেছেন।

পরবর্তীতে মিঠুন চৌধুরী তার পাওনার কথা উল্লেখ করে ২ মে সিলেটের আইনজীবী আবদুর রকিবের মাধ্যমে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তাদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান।

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। শেয়ারবাজারে কোম্পানির মোট ৮৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদে ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯.২৪ শতাংশ ও ৪০.৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।  গত একবছরে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩ হাজার ৪৬১ টাকা ও সর্বনিম্ন ১৬০ টাকা।

অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ