দু’যুগ পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

দু’যুগ পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে মিয়ানমার পৌঁছে সোমবার প্রেসিডেন্ট থেইনের সিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দীর্ঘ দুই যুগ পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গত রোববার মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে পৌঁছেন।

সোমবার প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন সফরের সময় মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে মনমোহন সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।

এ সফরে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের সভ্যতা, সংস্কৃতি আর ধর্মের সঙ্গে আমাদের শত বছরের পুরনো সম্পর্ক। আমি চাই আমাদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকাগুলোর উন্নয়ন হোক। উভয় দেশের অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়নেও আমরা পরস্পরের সহযোগী হতে চাই।’

সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী এক রাষ্ট্রীয় সফরে মিয়ানমার যান। কিন্তু ১৯৯০ সালে মিয়ানমারে সেনা শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেওয়ায় দু’দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মোড় হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। আর মিয়ানমারের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদকেও এ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছে ভারত।

তবে সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি। অনেক আগে থেকেই চীন মিয়ানমারে যে হারে বিনিয়োগ করছে এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করছে তাতে ভারত উদ্বিগ্ন।

এখন গণতন্ত্রের পথযাত্রী মিয়ানমারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টার আড়ালে চীনের সঙ্গে এক প্রকার প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতকে।

কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাশাসকদের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ভারত অতি বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। মিয়ানমারের বেশিরভাগ খাতে চীন বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এখানে অনেক কোম্পানিতে চীনা শ্রমিকরা কাজ করেন। সুতরাং অং সান সু চি ক্ষমতায় এলেও ভারত খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেই মনে করছেন তারা।

অর্থ বাণিজ্য