পিচের চরিত্র হননের কোন সুযোগ নেই। সে ভালো এবং অতিথি পরায়ন। অতিথি দল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাদামি পিচের বুকেই তো নান্দনিক একটা ইনিংস খেলেছে। ফুসফাঁস করেনি। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও না। তামিম ইকবাল, শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং নাসির হোসেন উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। এতে পিচের কোন দোষ নেই।
নাজিমউদ্দিন চৌধুরী এবং সাকিব আল হাসান যেভাবে শেষ সেশনটা উইকেটে কাটিয়ে দিলেন, তাতে করে অন্য মানে খোঁজারও সুযোগ নেই। টেস্ট দলের নবাগত ব্যাটসম্যান নজিমউদ্দিন মুঠোফোনে জানালেন, তাঁর কাছে সব কিছুই সহজ লাগছে,“উইকেট খুবই ভালো। উইকেট ভালো বলেই তো পাকিস্তান দল অত বড় ইনিংস খেলতে পেরেছে। আমার এবং সাকিবের ব্যাট করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। পাকিস্তানের বোলাররা বিশ্বমানের হলেও তাদের বল খেলা যাচ্ছে। যদি কাল আমরা দুজন এক সেশনও ব্যাট করতে পারি, তাহলে ইনিংসটা লম্বা হবে। আমরা চেষ্টা করবো পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাতে।”
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ইলিয়াস সানিও জানালেন সবই ঠিক আছে,“আমাদের দলের ব্যাটসম্যানদের কোন কারণে হচ্ছে না। আত্মবিশ্বাসে একটু ঘাটতি আছে বলে হয়তো হচ্ছে না। এছাড়া তো সব ঠিকই আছে। সাকিব ও নাজিম যেভাবে খেলছে, তাতে তো সব ঠিকই মনে হচ্ছে।”
সেøা এবং লো উইকেট হওয়ায় বোলাররা তা থেকে আগের মতো সুবিধা আদায় করতে পারেনি। এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকে ইলিয়াস সানি সাত উইকেট নিলেও পকিস্তানের তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পেরেছেন। যে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান, তারমধ্যে সাকিবের একটি উইকেটও নেই। ২৫ ওভারে ৯৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকা সাকিবের নামের সঙ্গে যায় না। সেজন্যই বোধহয় ইলিয়াস সানির দাবি খারাপ বোলিং করেননি তারা,“আমার কাছে তা মনে হয় না। তারা অনেক বেশি ওভার খেলেছে বলে অনেক রান হয়েছে। তারা স্রেফ ক্রিকেট খেলেছে। এছাড়া এমনি সব ঠিক আছে।”
পাকিস্তান নিরাপদে ক্রিকেট খেলে। বাংলাদেশ খেলে ঝুঁকিপূর্ণ শট। প্রতিবারই বাউন্ডারিতে বল পাঠাতে গিয়ে শেষপর্যন্ত নিজের মূল্যবান উইকেট ছুঁড়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। অথচ পাকিস্তানের চেয়েও বেশি নিরাপদ ক্রিকেট খেলার কথা বাংলাদেশের,“আমরাও তো চেষ্টা করছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই সিরিজটা ভালো খেলতে পারছে না বলে আত্মবিশ্বাস কিছু কম আছে। তবে ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করছে। নাজিম আর সাকিবের ব্যাটিং দেখে এখন ভালোই মনে হচ্ছে।”