মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনী যে যৌন সহিংসতা চালিয়েছে, তা এতটাই ব্যাপক এবং মারাত্মক ছিল যে এটি গণহত্যার মতো মারাত্মক অপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধও। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সত্য-সন্ধানী মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা হদিস পেয়েছেন যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নারীদের ওপর বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। এমনকি তারা শিশু ও কিশোরের উপরও এ ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কাচিন ও শান সম্প্রদায়ের ওপরও রোহিঙ্গাদের ন্যায় অনাচার চালানো হয়েছে। বিশেষ করে সে দেশের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
নিউইয়র্কে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যা অভিপ্রায় ছিল, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নারী সদস্যদের হত্যা করার মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা। এমনকি রোঙ্গিা সম্প্রদায় যেন বহু বছর ধরে সেই ধকল বয়ে বেড়ায়, সেই হীন মানসিকতাও ছিল সেনাবাহিনীর মধ্যে।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘও এর আগেই মিয়ানমারে গণহত্যার কথা বলেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের কথা। রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বহু নারী জানিয়েছেন তাদেরকে ধর্ষণের কথা।