টেস্ট ম্যাচ কয়দিন মাঠে থাকবে বৃহস্পতিবার আলোচনার বিষয় হয়ে থাকলো। যতার্থ উত্তর কেউ-ই দিতে পারেননি। শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন চেষ্টা থাকবে পঞ্চম দিনে টেনে নেওয়ার। ইউনুস খান এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে হেসে নিলেন। উত্তর দিলেন হাসতে হাসতে,“আল্লাহ জানে কতদিন খেলা হবে। তবে তারা যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারে তাহলে পাঁচদিনে খেলা গড়াবে।”
পাঁচদিন না তিন দিনে খেলা শেষ হবে প্রত্যেকের মনে একই জিজ্ঞাসা। খেলার আগে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়াও তো কঠিন। বাংলাদেশ যদি ভালো খেলে ফেলে তাহলে শেষদিন পর্যন্ত খেলা গড়াতে পারে। কিন্তু যাদের বিপক্ষে খেলা তাদরে সামর্থ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকায় পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারটি সরাসরি উত্তর দেননি। যদিও একপর্যায়ে বলেছেন,“আমরা সমমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছি। যদিও টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে ধুঁকেছে। টেস্ট ভিন্ন বল গেম। তারা যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারে, তাহলে আমাদেরকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামনে দাঁড় করাতে পারবে।”
এ বছর রেকর্ড ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। টেস্ট ক্রিকেটেও দুর্বার। চারটি টেস্ট সিরিজ খেলে তিনটিতেই জিতেছে। ড্র হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। বলতে গেলে ওয়ানডের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান। বাংলাদেশ সফরেও ভিন্ন কিছু না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইউনুস আশাবাদি,“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কোন প্রতিপক্ষই চ্যালেঞ্জিং। সত্যি বলতে এখানে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। তবে যে ব্যাটসম্যান ৪০ রান করতে ৭০ বা ৮০ বল খেলেছে তাদের কিছুটা টেস্টের প্র্যাকটিস হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো স্কোর করে টেস্ট সিরিজ জেতা।”
পাকিস্তান দলটি অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। মানের দিক থেকে তুলনাও হয় না। তাদের যে কয়জন বোলার আছে প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক মানের। আইসিসি ওয়ানডে বোলার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই বোলার পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজ। তাদেরকে নিয়ে পাকিস্তান দল যে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ দলের একজন বিশ্ব ওয়ানডে অলরাউন্ডার অবশ্য আছে। সেই সাকিব আল হাসান দলকে একা কতটা পথ বয়ে নিতে পারবেন?