যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফিলিস্তিনি তরুণরা

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফিলিস্তিনি তরুণরা

কয়েক দশক ধরেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিপীড়িত সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন বহুদিনের। এর বিপরীতে শুধু হত্যা, বুলেট, বারুদের গন্ধ আর চোখ রাঙানি। তবুও থেমে নেই স্বাধীনতার দাবিতে ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন। একসময়ে কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য হলেও, এখন যুদ্ধের প্রস্তুতি বিভিন্ন শারীরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ফিলিস্তিনি তরুণরা।

প্রতিদিনই কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শারীরিক কসরত প্রশিক্ষণে অংশ নেন কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি তরুণ। প্রাথমিক পর্যায়ে নিছক বিনোদনই ছিল এর একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু এখন পরিণত হয়েছে সামরিক প্রশিক্ষণে।

কয়েকজন বলেন, ‘অন্য সব ধরনের খেলার চেয়ে এর অনূভূতিই আলাদা। এই কসরতে নিজেদের প্রস্তুত করার মাধ্যমে ইসরাইলিদের হাত থেকে আমার মাতৃভূমি রক্ষা করতে পারবো। এটাই আসল তৃপ্তির বিষয়।’

২০০৫ সালে ইসরাইলি বোমার আঘাতে নিজেদের ক্লাব ধ্বংস হওয়ার পর থেকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের তরুণরা, শারীরিক কসরতকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু সামরিক কৌশল রপ্তের মাধ্যমে যুদ্ধের জন্য প্রস্তত হন এই তরুণরা। কোনো প্রশিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ।

একজন বলেন, ‘এর সঙ্গে জীবনের অনেক মিল আছে। কারণ আমাদের পুরো জীবনটাই নানা প্রতিবন্ধকতায় ভরা। আর এই খেলাটিতেও একই ধরনের বাধা পার হতে হয়। তাই এখানে জয়ের মাধ্যমে শত বাধা পেরিয়ে জীবন জয়ের স্বাদ পাওয়া যায়।’

এসব তরুণদের স্বপ্ন, শারীরিকভাবে প্রস্তুত হয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তাই এই প্রশিক্ষণ নিজ শহরের বাইরেও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই প্রশিক্ষণে প্রায়ই ঘটে আহত হওয়ার ঘটনা। এছাড়াও ইসরাইলি পুলিশ হাতে আটক হতে হয়েছে বহু তরুণ ও কিশোরকে। তবুও স্তিমিত হয়নি ফিলিস্তিনি তরুণদের স্বাধীনতার স্বপ্ন।

আন্তর্জাতিক