স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাজারে ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ঔষধের গুণগত মান রক্ষায় সরকার কয়েক বছর ধরে কারখানা ও ফার্মেসীগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। আগামীতে এই অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার কুড়িল বিশ্বরোডে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ এর উদ্বোধনকালে একথা বলেন। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি এই ফার্মা মেলার আয়োজন করে।
জাহিদ মালেক বলেন, জনগণের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নিয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলেই শাস্তি দেওয়া হবে। গুটিকতক অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ঔষধ শিল্পের সার্বিক সুনাম যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে জে মোস্তাফিজুর রহমান, সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চিকিৎসক সমাজের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কতিপয় চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুরো সমাজের মান ক্ষুন্ন হয়। তাই উপজেলায় পদায়নকৃত চিকিৎসকদেরকে কর্মস্থলে রাখার জন্য সকলকে তৎপর থাকতে হবে। কর্মস্থলে চিকিৎসক ও নার্স না থাকলে সরকার আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা পূর্ণব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনদিন ব্যাপী এই মেলায় বিশ্বের ৫০টি দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তাকারী ৬৫০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
পরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে দু’দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার জন্যে উভয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমানে উচ্চ মাত্রায় বিরাজ করছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ভারতের অব্যাহত সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে মন্ত্রী আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।