রাত ৯টা। সোনারপুরের গোড়খাড়ার ঘোষপাড়ায় মিষ্টির দোকান থেকে সিঙ্গারা কিনছিলেন পূজা মহাজন। কেনাকাটা শেষে বাড়ির রাস্তা ধরতেই ঘনিয়ে আসে বিপদ। আচমকাই পাশে এসে দাঁড়ায় একটি পালসার মোটর বাইক। তাতে থাকা দুই জন পূজার হাত ধরে টানার চেষ্টা করে। তাঁকে মোটর-বাইকে তোলার চেষ্টা করা হয়। পূজা বাধা দিতেই মোটরবাইকে থাকা দুইজনেই পূজাকে গুলি করে। রক্তাক্ত পূজা এরপর সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার।
ঘটনাস্থলের কাছেই একটি ক্লাব ছিল। গুলির শব্দ শুনে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন সদস্যরা। পূজা তাদেরকে জানান, মোটারবাইকে থাকা দু’জন তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। না পেরে গুলি করে। এরপরই তড়িঘড়ি পূজাকে প্রথমে মহামায়াতলায় হিন্দুস্থান নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, তারা পূজাকে ভর্তি করতে অস্বীকার করে। এরপর পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসা হলেও পূজার অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘোষপাড়ায় যেখানে এই ঘটনা সেখানে স্ট্রিট লাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরেই জ্বলে না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ফলে পূজাকে গুলি করার ঘটনা কারোরই নজরে আসেনি। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
পূজা স্নাতক স্তরের পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থাতেও কাজ করেন।