বিপিএলের চলতি ৬ষ্ঠ আসরে আজকের দিনটাই অন্যরকম। দিনের দুটি ম্যাচেই দেখা গেল রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের দুর্দান্ত জয়ের পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে দিল চিটাগং ভাইকিংস। ৪ ম্যাচে দলের তৃতীয় জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়ক মুশফিকের। কুমিল্লার ১৮৪ রান চেজ করে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। সেটাও ৩ বল হাতে রেখে।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে চিটাগং ভাইকিংসকে দারুণ শুরু এনে দেন মোহাম্মদ শেহজাদ এবং ডেলপোর্ট। সাইফউদ্দিনের বলে ১৩ রান করা ডেলপোর্ট তামিমের তালুবন্দি হলে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। ২৭ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝড় তোলা শাহজাদকে ফেরত পাঠান শহিদ আফ্রিদি। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা থিসারা পেরেরা ইয়াসির আলীকে (৪) এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেও মেহেদী হাসানের শিকার হন নজিবুল্লাহ জার্দান (১৩)।
৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক। ৬২ রানে একবার রিভিউ নিয়ে জীবন পান তিনি। তবে তার সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান করে শিকার হয়েছেন সাইফ উদ্দিনের। ১৯তম ওভারের শেষ বলে জয়ের পথে থাকা চিটাগং বড় ধাক্কা খায়। ৪১ বলে ৭ চার ৪ ছক্কায় ৭৫ রান করা মুশফিক সাইফউদ্দিন কে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার ওপর তামিমের তালুবন্দি হন। শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। নাঈমকে সঙ্গী করে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ফ্রাইলিং। তখনও ইনিংসের বাকী ৩ বল। ৪ উইকেটে অসাধারণ জয় পায় চিটাগং।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে থিসারা পেরেরার ছক্কা তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু শুরুটা তাদের মোটেও ভালো হয়নি। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ফ্র্যাইলিংকের শিকার হয়ে ফিরে যান ০ রানে। ১০ রান করা এনামুল হক বিজয়কে ফ্র্যাইলিংকের তালুবন্দি করেন আবু জায়েদ। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে অপর ওপেনার এভিন লুইস ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন।
৩৪ বলে ৩৮ করা ক্যারিবীয় হার্ডহিটার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। ভাঙে ৫৪ রানের জুটি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (২৪) এবং লিয়াম ডসনকে (২) পরপর বোল্ড করে দেন খালেদ আহমেদ। চলতি আসরে ভালো ব্যাটিং দেখানো শহিদ আফ্রিদি ২ রান করে সেই খালেদের বলে হিট-উইকেটের শিকার হন। অবশেষে উইকেটে শুরু হয় থিসারা পেরেরার ঝড়। আজই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই লঙ্কান অল-রাউন্ডার। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
থিসারাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফউদ্দিন। ফ্র্যাংলিংকের করা ১৯তম ওভারে ৪ ছক্কা এবং ২ চারে নেন ৩০ রান। সাইফউদ্দিনের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৯৮ রান। ২৬ বলে ৩ চার ৮ ছক্কায় অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা। ১৯ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। তাদের ব্যাটিং দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৪ রান।
দিনের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে রাজশাহী কিংস। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ওভারের ভেলকিতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ রানের জয় পায় মেহেদী মিরাজের দল।