খাবারে ভেজাল পাওয়া গেলে জেলে পাঠানো হবে : সাঈদ খোকন

খাবারে ভেজাল পাওয়া গেলে জেলে পাঠানো হবে : সাঈদ খোকন

খাবারে ভেজাল পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করে কাজ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তাই এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে অপরাধীদের জেলে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান।

ভেজালবিরোধী অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হইনি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতিয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করব, সেটা প্রতীকী হলেও করব।

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়, যেখানে খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

পরে নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিতে ২০১৫ সালে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলের ২৯ নম্বর ধারা সংশোধন করে। সেখানে তাতে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ অন্তর্ভুক্ত করে সরকার।

অভিযানের অংশ হিসেবে পরে সাত মসজিদ রোডের স্টার কাবাবে যায় ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানকার রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সিটি করপোরেশন ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, র‍্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর