রঙ্গীন পোশাকে প্রায় আড়াই বছর পর ব্যাট হাতে নামলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেটাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট করতে নেমে নতুন মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন তিনি। ভারতের পঞ্চম ও বিশ্বের ত্রয়োদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’।
শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড় এবং বিরাট কোহলির পর এই ইতিহাস গড়েন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।মাইলফলকে পৌঁছতে ধোনির দরকার ছিল মাত্র ১ রান। অস্ট্রেলিয়ার ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারত দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় এদিন ভারতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ধোনি। ষষ্ঠ ওভারে রিচার্ডসনের শেষ ডেলিভারি সামনের পায়ে ঠেলে দিয়েই তিনি মাইলফলকে পৌঁছান।
তবে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে নামার আগেই ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ১০ হাজার রানের গণ্ডি টপকে ছিলেন ধোনি। তবে এর মধ্যে ১৭৪ রানের ইনিংসটি ছিল ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। তাই ভারতের হয়ে ১০ হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করতে তার অপেক্ষা বেড়েছিল। আজ অবসান হলো সবকিছুর। এই মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে কোহলির পর ধোনিই একমাত্র ১০ হাজারি ক্রিকেটার, যিনি এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন।
ধোনি ও কোহলি ছাড়া বাকি দশ হাজারি ১১ জন ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছেন। তারা হলেন শচীন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা, রিকি পন্টিং, সনৎ জয়াসুরিয়া, মাহেলা জয়বর্ধনে, ইনজামাম উল-হক, জ্যাক ক্যালিস, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়, ব্রায়ান লারা এবং তিলকরত্নে দিলশান।
এখনও পর্যন্ত ৩৩৩টি ওয়ানডে, ৯০টি টেস্ট এবং ৯৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ব্যাট হাতে ১৬টি সেঞ্চুরি-সহ ১৬ হাজার রান এবং উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে ৮০০ বেশি শিকার রয়েছে তার ঝুলিতে। অধিনায়ক হিসেবে দেশকে উপহার দিয়েছেন দুটি বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১১ তিনি ভারতকে এনে দেন দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ।