সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারই পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর আগে নিজের অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে এবং এটিকে অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত “জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য সার্বভৌমত্বের উপর প্রভাব” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ঝুঁকি প্রসঙ্গে মেনন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছয় নম্বরে। অথচ পরিবেশ দুষণে বাংলাদেশের অবস্থান সর্ব নি¤েœ।”
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মত সমুদ্র তীরবর্তী নিচু দেশগুলোর ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মেনন আরো বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ধনী দেশগুলোর ভোগবাদী মানসিকতার নির্মম শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো ছোট ছোট দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের মাথাপিছু কার্বন উদগীরণের পরিমাণ যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ১৭.৬২ মেট্রিক টন, রাশিয়ার ১২.৫৫ মে.টন, চীনের ৬.৫২ মে. টন। অথচ আমাদের বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বণ উদগীরণের পরিমাণ মাত্র ০.৩৭ মে. টন। তাহলে ধনী দেশোগুলোর কার্বণ ব্যবহারের কুফল কেন আমরা ভোগ করতে যাবো। কাজেই অবিলম্বে ধনী দেশগুলোর যত্রতত্র কার্বণের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে।”
কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আনিছুর রহমান মল্লিক, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, আমিনুল হক আমিন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক নাসরিন সুলতানা।