এমন কিছুই তো চেয়েছিল রাত জাগা অগণিত টাইগার সমর্থকেরা। প্রশান্তির একটা ঘুম দেয়া যাবে শেষ রাতে। মাশরাফিরা পেরেছে বলেই। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে আট রান না নিতে পারার হতাশা অন্তত ঘুচল ২-১ ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ জিতে।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ দল। ওই সিরিজ জিতেও কম কথা হয়নি। বলাবলি হয়েছিল দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল সাকিব-তামিমরা। নয় বছর পর সেই কথাগুলোর উত্তর দিল টাইগাররা। এবার গেইল-লুইসদেরসহ শক্তিশালী ক্যারিবীয় দলকে নাকানি-চুবানি খাওয়ালো টাইগার শিবির।
সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরে হতাশায় ডুবে থাকা বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ওয়ানডে সিরিজে এসে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৪৮ রানে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় মাশরাফির দল। এরপরের ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবে। বলা যায় বাংলাদেশের জন্য হতাশার একটা ম্যাচ। মাত্র ৩ রানের হারতে হয় সফরকারীদের।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাশরাফিরা নামে সিরিজ জয়ের মিশনে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসিটা বাংলাদেশই হাসল।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জয়ে দিনের শুরু। ইনিংস জুড়ে আশা-হতাশায় ৩০১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।
তামিমের ১১তম শত রানের ইনিংস। সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। আর অধিনায়কের ২৫ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। সব মিলিয়ে তিনশ পার।
সেন্ট কিটসের এই মাঠে ৩০০ রান টপকে জেতা হয়নি কোনো দলের। রেকর্ড ভেঙ্গে জয় পাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিরিজে তৃতীয়বারের মতো মাশরাফির শিকার ক্যারিবিয় ওপেনার এভিন লুইস। তার ১৭ রানে বিদায়ের পর ক্রিস গেইল আর শাই হোপের প্রতিরোধ গড়া ব্যাটিং।
গেইল খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। হোপের ব্যাটে আসে ৬৪ রান। এই দুইয়ের বিদায়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচা। মাঝে শিমরন হেটমেয়ার আর রোবম্যান পাওয়েলের জুটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে টাইগারদের।
কিন্তু না। মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমানদের সামনে আর পেরে উঠতে পারেনি জেসন হোল্ডারের দল।
রোবম্যান পাওয়েল ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ে হারের বোঝা কাঁধে নিয়েই। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৩ রান পর্যন্ত তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মাশরাফির দুটি উইকেট তুলে নেন। অন্যদিকে একটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ, মিরাজ ও রুবেল ।
১২৪ বলে ১০৩ রান করে ম্যাচ সেরা আর তিন ম্যাচে মোট ২৮৭ রান করে সিরিজ সেরার খেতাব পান তামিম।