প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে কেউ বঞ্চিত হয় না। নৌকায় ভোট দিলেই উন্নয়ন হয়। সুখে থাকে দেশের মানুষ।
তিনি আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের নর্থ ইউলুপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে মানুষের বসবাস বাড়ছে। ঢাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আগমনও বাড়ছে। ঢাকায় রিং রোড করার বাইরে রাজধানীজুড়ে ছোট ছোট শহর গড়ে তোলা হবে। এই শহরগুলো হবে বহুতল বিল্ডিং দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, ভক্স কালভার্টগুলো পরিকল্পিত নয়। যেমন-পান্থপথে ভক্স কালভার্ট আছে। এগুলো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে ভক্স কালভার্টগুলো তুলে দিয়ে খাল করে দেবো। সেই খালের উপরে প্রয়োজনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে দেওয়া হবে। এসব পরিকল্পনা আমাদের আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় বসবাসের প্রয়োজন হবে না। মানুষ বাইরে থেকে এসে ঢাকায় কাজ করবে, আবার চলে যাবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রাজধানীর সঙ্গে আশপাশের শহরের যোগাযোগ সহজ করার জন্য সরকার নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর, উত্তরা থেকে ২০ কিলোমিটার পথ ৩৮ মিনিটে পেরিয়ে যাত্রীদের মতিঝিলে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা হবে।
তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন যাতায়াত আরও সহজ হবে। গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) রুট চালু হলে টঙ্গী ও উত্তরার সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত সহজতর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাচ্য থেকে প্রশ্চাত্যে যাতায়াত সহজ করতে বিমান যোগাযোগ আরও সহজ করবো। জাতির পিতা বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ড অব দ্য ইস্ট। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশ পথে যোগাযোগ যেন সহজ হয় সেই ব্যবস্থা করে দেবো।
এসময় হাতিরঝিল প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, একটা সময় এই হাতিরঝিলে কেউ আসতে চাইত না। আমরা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই হাতিরঝিল প্রকল্পে হাত দেই। কিন্তু পরের বার ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কি হলো? সৌন্দর্য্যবর্ধন তো দূরের কথা, দখল বেড়ে গেলো। পরের বার ক্ষমতায় এসেই আমরা একময়ের বর্জ্য ফেলা এবং দুর্গন্ধময় এ অঞ্চলটিকে বর্তমান রূপ দিয়েছি। একাজে সহযোগিতার জন্য আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাবো।
আপনারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন বলেই আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন করার সুযোগ পেয়েছি আমরা বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বাড্ডা প্রান্তের ইউ আকৃতির গাড়ি পারাপার সেতু (ইউলুপ) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর গাড়িতে স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়।
বাড্ডার এই ইউলুপটি চালু হওয়ার ফলে যানবাহনগুলো প্রগতি সরণি হয়ে ইউলুপ দিয়ে বাঁক নিয়ে বনশ্রী, আফতাবনগর, রামপুরা বা মালিবাগ অভিমুখে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি বাড্ডা পয়েন্টে সৃষ্ট ব্যাপক যানজটেরও নিরসন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া বাড্ডা ইউলুপটির কাজ শুরু হয়েছিলো।