সরকার গঠনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি গ্রিসের রাজনৈতিক দলগুলি। সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা দেশটিকে নতুন একটি নির্বাচনের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা গ্রিসের সমাজবাদী পাসোক পার্টির নেতা ইভানজেলোস ভেনিজেলোস জোট সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা স্বীকার করে শুক্রবার বলেন, ‘আমি আগামীকাল বিকেলে প্রেসিডেন্টকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। আশা করছি প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার সময় প্রত্যেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন।’
এদিকে পৃথক এক বার্তায় গ্রিক প্রেসিডেন্ট কারোলোস পপুলিয়াস বলেন, তিনি শনিবার ভেনিজেলোসের সঙ্গে দেখা করবেন। গ্রিক নেতাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হলে মধ্য জুনেই আবার নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবেন প্রেসিডেন্ট।
সরকার গঠনে নিজের উদ্যোগের ব্যর্থতার জন্য পাসোক নেতা ভেনিজেলোস এর জন্য কট্টর বামপন্থি দল সিরিযা পার্টির একগুয়েমিকেই দায়ী করেন। গ্রিসে জন্য ইইউ কর্তৃক প্রস্তাবিত ব্যয় সংকোচন কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে গ্রিসের বামপন্থিরা। মূলত এই কৃচ্ছ্রতা কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে গত নির্বাচনে অভূতপূর্ব ফলাফল করতে সক্ষম হয় বামপন্থিরা।
নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থান গ্রহণকারী সিরিযা পার্টি কৃচ্ছ্রতা কর্মসূচি সমর্থনকারী যেকোন সরকারে যোগদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়। অপর দিকে গ্রিসের প্রধান দুই দল ইইউ প্রস্তাবিত কৃচ্ছ্রতা কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে এই কর্মসূচি অনুমোদন না করলে ইউরোজোনে গ্রিস টিকে থাকতে সক্ষম হবে না।
এদিকে নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বামপন্থি সিরিযা পার্টির নেতা আলেক্সিস সিপরাস বলেন, সমাজবাদীদের সঙ্গে তারা কোন জোট গঠন করবেন না। আবার অন্যদিকে সিরিযাবিহীন কোন সরকারে যোগ দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে রোববারের নির্বাচনে ১৯ আসন পাওয়া ডেমোক্রেটিক লেফ্ট পার্টি।
রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে অদূরভবিষ্যতে গ্রিসে কোনো সরকার গঠনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটে আক্রান্ত গ্রিস এখন চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে পতিত। দেশটির চলমান এই সঙ্কটের সঙ্গে রয়েছে বিশাল ঋণের দায়। ফলে ইউরোজোন থেকে গ্রিসের বাদ পড়া ঠেকানো যাবেনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।